1. live@www.jagrotobd.com : দৈনিক জাগ্রত বাংলাদেশ : দৈনিক জাগ্রত বাংলাদেশ
  2. info@www.jagrotobd.com : দৈনিক জাগ্রত বাংলাদেশ :
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাজার থেকে সমুচা না আনায় স্বামীকে মেরে হাসপাতালে পাঠালেন স্ত্রী  অভয়নগরে  সেনাবাহিনীর অভিযানে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার পুরান ঢাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে সন্ত্রাসী আলাউদ্দিনের বাসায়,অস্ত্র-গুলি উদ্ধার অভয়নগরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে শামীম নামের এক যুবক মারাত্মক আহত  নড়াইলের নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ রবিউল ইসলামের যোগদান পীরগঞ্জে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রেলি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ে আদালত চত্বরে বিচারকদের বৃক্ষরোপণ নান্দাইলে বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে হাজার হাজার জনতার ঢল পটিয়ায় ইদ্রিস মিয়ার নেতৃত্বেে বিএনপি ৪৭তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী বর্ণাঢ্য র‍্যালি সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংবাদ প্রকাশের জেরে রাজশাহীতে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

যশোরের শিক্ষাঙ্গনে এই দুরবস্থার দায় কার?

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক 

জলাবদ্ধতা এখন আর শুধু অবকাঠামোগত সমস্যা নয়; এটি একটি শিক্ষা-সংকট

টানা বৃষ্টিতে যশোরের মণিরামপুর , কেশবপুর ও অভয়নগর উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন একের পর এক পানির ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে কলেজ পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাঁটু থেকে কোমরসমান পানির নিচে। শ্রেণিকক্ষ, মাঠ এমনকি পরীক্ষাকেন্দ্রেও প্রবেশ করেছে পঁচা পানি ও কাদা। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে হাজারো শিক্ষার্থী। চলমান অর্ধ-বার্ষিক ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের কাঁদা-মাটি আর ভেজা পোশাকে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে যা আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক এক চিত্র।
যশোরের শিক্ষাঙ্গনে এই দুরবস্থার দায় কেবল প্রকৃতির নয়, এই দায় দীর্ঘদিনের পরিকল্পনাহীন শহরায়ন, দখল-দূষণের শিকার খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যর্থতা এবং প্রশাসনের গা-ছাড়া মনোভাবেরও। প্রতিবছর বর্ষা এলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়, কিন্তু এর কোন স্থায়ী সমাধান নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পর্যন্ত নেই কার্যকর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। শিশুদের স্কুলে যেতে হচ্ছে ভেলা, বাঁশ কিংবা জুতা হাতে নিয়ে। কেউ কেউ ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। শিক্ষার পরিবেশ কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে?
স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা কেবল প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায়িত্ব শেষ করছেন। কখনো ‘পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে’, কখনো ‘সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে’ এসব কথা আজ আর বিশ্বাসযোগ্যতা রাখে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা সব প্রতিষ্ঠান জানে সমস্যা কোথায়, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।
আরও দুঃখজনক হলো, জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কেউ জানেন না, কতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে! তথ্য না থাকলে সমাধান কেমন করে হবে?
একটি শিশু ভেজা জামা-কাপড়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে বলে, “কলেজ নয়, মনে হয় নদীর ঘাট পার হচ্ছি” এই উচ্চারণ আমাদের বিবেক নাড়ায় না? শিক্ষা শুধু পাঠদান নয়, এটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়ও বহন করে। জলাবদ্ধতা যদি প্রতিবার একইভাবে ফিরে আসে, তবে তার প্রতিকারও হতে হবে দৃশ্যমান ও কার্যকর।
জেলা প্রশাসক গণমাধ্যমকে বলেছেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন” এ কথা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্তু সেই সম্মিলন কবে ঘটবে? ভোগান্তিতে পড়া শিশুদের আর কত বছর এমন দুর্যোগ সয়ে বড় হতে হবে?

জলাবদ্ধতা এখন আর শুধু অবকাঠামোগত সমস্যা নয়; এটি একটি শিক্ষা-সংকট। পাঠদান যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ। যে জাতি তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জলাবদ্ধতার পঁচা পানির মধ্যে ফেলে রাখে, সে জাতির ভবিষ্যৎ কখনোই আলোকোজ্জ্বল হতে পারে না।
এখনই সময় স্থায়ী সমাধানে পরিকল্পনা গ্রহণ, খাল-ড্রেন দখলমুক্ত ও সংস্কার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে জলমুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
জেমস আব্দুর রহিম রানা, সিনিয়র গণমাধ্যমকর্মী, যশোর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট