অভয়নগরে গলিত ঝুলন্ত মরদেহ ঘিরে রহস্য! আত্মহত্যা না নির্মম হত্যা?
অভয়নগর প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে এক যুবকের গলিত ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উৎকণ্ঠা, আতঙ্ক ও রহস্যের আবহ তৈরি হয়েছে। একদিকে পরিবারের কান্না, অন্যদিকে স্থানীয়দের সন্দেহ ইমরান হোসেন (২০) আত্মহত্যা করেননি, বরং তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে’ হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এই দাবিই শোনা যাচ্ছে এখন মুখে মুখে আবার অনেকেই বলছেন আত্মহত্যা।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে নওয়াপাড়া বড়বাজার সংলগ্ন ভৈরব নদ পাড়ে একটি টিনসেড ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ইমরান উপজেলার শংকরপাশা শাহিনপাড়া গ্রামের মোঃ বাবু কসাইয়ের ছেলে।
দুর্গন্ধ ছড়ানো ঘরেই মিলল চাঞ্চল্যকর দৃশ্য
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ঘর থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছিল। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়
পরবর্তীতে স্থানীয় জনসাধারণ ও নিহতের ভাইদের উপস্থিতিতে পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহ তখন আংশিক পচে গলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছিল।
একটি টুল, কিছু রক্ত, এবং একরাশ প্রশ্ন
ঘরের ভেতরে পাওয়া গেছে একটি টুল, যেটির উপর দাঁড়িয়ে গলায় ফাঁস নেয়ার ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু পায়ের নিচে রক্তের ছাপ, মরদেহের অবস্থান, আর ফাঁসির উচ্চতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
স্থানীয়দের কেউ কেউ বলেন
> যদি ফাঁস নেয়, তার পা মাটি স্পর্শ করবে কেন? ঘরের সেই উচ্চতা অনুযায়ী ফাঁস নেয়ার পরিস্থিতি ছিল না। টুলটা শুধু সাজানো কি না, সেটাই প্রশ্ন।
মাদক, পারিবারিক কলহ ও এক রাতের রহস্য
ইমরানের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রায় সময়েই পরিবারে ঝগড়াঝাঁটি করতেন। মৃত্যুর আগে রাতেই কয়েকজনের সাথে তীব্র বাকবিতণ্ডা ও শারীরিক সংঘর্ষে জড়ান বলেও জানাগেছে।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল আলিম বলেন— একজন যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্ত চলছে।
ইমরানের মৃত্যুতে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। মা-বাবা বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ও গুঞ্জন,