ধরা ছোঁয়ার বাইরে কৃষকদল নেতা তরিকুল হত্যা মামলার আসামীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
চাপ কমাতে নিরপরাধীদের আটকের অভিযোগ
ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে অভয়নগর উপজেলার আওতাধীন নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহার নামীয় মুল আসামীরা। গত মাসের ২২ মে সন্ধায় ঘেরের চুক্তিপত্র করার কথা বলে উপজেলার ডহর মশিয়াহাটি ডেকে নিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরদিন এ ঘটনায় নিহতের ভাই রফিকুজ্জামান ইসলাম টুলু বাদি হয়ে অভয়নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে যার মামলা নং ১৬, ২৬/৫/২৫ এজাহার নামীয় আসামীরা হলে ১) পিন্টু বিশ্বাস, ২) দীনেশ, ৩) দূর্জয়, ৪) সাগর বিশ্বাস, ৫) অজিত, ৬) পল্লব, ৭) গজো ওরফে পবন, ৮) অতীত মন্ডল, ৯) আকরাম আক্তার কোরাইশি পাপ্পু, ১০) মাসুদ পারভেজ সাথী, ১১) ফিরোজ খান। মোট ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০/২৫ জন আসামী করে.।
মামলার ৪ নং আসামীকে স্থানীয়রা পুলিশে শোপর্দ করে। হত্যা মামলা রুজুর এক মাস অতিক্রম হলেও পুলিশ এজাহার নামিয় বাকি আসামিদের কাউকেই আটক করতে পারেনি।
অভিযোগ আছে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চাপ ও স্থানীয় রাজনৈতিক পরিবেশ শান্ত রাখতে নিরপরাধ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে এ মামলায় আটক করা হয়েছে। তারা হলেন কুমারেশ মল্লিক পিতা সমর মল্লিক সাং আন্ধা, স্বদেশ মন্ডল পিতা তাপস মন্ডল সাং ভাটবিলা, সাগর বিশ্বাস পিতা সুজিত বিশ্বাস সাং ডহর মশিয়াহাটি, অসীম তরফদার পিতা গোসত তরফদার সাং হরিনাবাদ,পাইকগাছা, প্রজিত রায় পিতা অবনি রায় সাং দেলুটি, পাইকগাছা, সৌমেন মহলদার পিতা রিপন মহলদার সাং কুচলিয়া ও পল্লব বিশ্বাস পিতা পরিতোষ বিশ্বাস সাং সুজাতপুর, মশিয়াহাটি, চয়ন মল্লিক। এরা সকলে নিরপরাধ ব্যাক্তি তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোন তথ্য প্রমান আদালতে উপস্থাপন করতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীরা বলেন তরিকুল হত্যাকান্ডে যারা জড়িত তাদের কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি হোক কিন্তু নিরাপরাধ কোন ব্যাক্তি যেনো আটক না হয়। বর্তমানে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে আছে কখন কাকে জানি ধরে নিয়ে যায়। অনেকে এলাকাছাড়া রয়েছে, ভয়ে বাড়িতে আসতে সাহস পাচ্ছে না। পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।তাদের দাবি নিরপরাধ সকলকে দ্রুত জামিনের ব্যবস্থা করে। এই মামলা হতে অব্যহতি দেওয়ার হোক। নিরপরাধ ব্যাক্তিদের পরিবারগুলোর দাবি আর যেনো কোন নিরপরাধ ব্যাক্তিকে আটক না করা হয়। এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আলিম বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র হাতে কিছু জানার থাকলে ডিবির ওসির সাথে কথা বলেন। এবিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র অফিসার ইনচার্জ মোঃ মঞ্জুরুল হক ভূইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।