“” *সাধু সন্যাসীর আড্ডাখানা “”* **:: ** *তিনটি উপকারী মহোষৌধ***””
সামাজিক মর্যাদা রক্ষায় জাল সনদধারী নির্লজ্জ দূর্নীতিবাজ কুলাঙ্গার শিক্ষকরা যখন আদালত এর দ্বারস্থ, তখনই তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারবে এনটিআরসিএ অফিসের কর্মচারীরা। শুধু তা-ই নয় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক এমপির একেএম এ আওয়াল এর স্ত্রী লায়লা পারভীন অষ্টম শ্রেণি পাস,যাকে জাল সনদ দিয়ে অধ্যাপনা পেশায় নিয়োজিত করেছে, তার বৈধতা দিয়ে সেই কলেজও জাতীয় করণ করতে সহায়তা করেছে। এমনকি আবেদনই করে নাই অথচ নরসিংদী জেলায় পলাশ থানাধীন খুদি মাহমুদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম এর শ্যালিকা রাবেয়া সুলতানা কে চাকরি দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে একই প্রতিষ্ঠানে একাধিক বার আবেদন করেও চাকরি পাইনি , বলা হয়েছে যোগ্য শিক্ষক পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ৬০ হাজার জাল সনদ ধারী দের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং একজনের সনদ অন্য জনে ব্যবহার করছে সেক্ষেত্রে আমাদের সনদও যে কেউ না কেউ ব্যাবহার করলে অবাক হওয়ার কোনো কারণ নেই। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে এই শিক্ষক পরিষদ এর নেতাদের কারণেই। এতে এনটিআরসিএ বিব্রতবোধ করছে এবং লজ্জিত হয়েছে। এটা কি মেনে নেওয়া কম কষ্টের। তাই তো ক্ষোভে,বিস্ফোরিত হয়ে যারা নেতৃত্ব দিয়ে, চোখে আঙুল দিয়ে জনসম্মুখে তাদের সকল অপকর্ম তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর ভূমিকা পালন করেছে তাদের চাকরি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নেতারা এনটিআরসিএ এর গলার কাঁটা, বিষফোড়া। এদের কে অবশ্যই বাদ দিতে হবে, তাই নিয়োগ না দেওয়ার সকল প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। এতে আমরা বৈধ সনদ ধারী নেতৃবৃন্দ মোটেই বিচলিত নই। কারণ গত ১৬ জুন ২০২৫ কোনো একটা ফেসবুক গ্রুপে আমাদের একজন বৈধ সনদ ধারী লিখেছিল শিক্ষক পরিষদ এর কোনো নেতাদের এনটিআরসিএ অফিসের কর্মচারীরা কেউ চাকরি দিতে চায় না।
আসলেই কি তাই? এই সিদ্ধান্তটিও একটা অশুভ চক্রান্ত এবং এনটিআরসিএ’র জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত । কারণ যদি এনটিআরসিএ আমাদের কোনো নেতৃবৃন্দকে নিয়োগ না দেয় তাহলে তিনটি উপকার হবে।
*১।এনটিআরসিএ একটা ফেরেস্তার ন্যায় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হবে।
২।ঐ প্রতিষ্ঠানে কোনো চোর থাকবে না।
৩।এমনকি কোনো ন্যূনতম দূর্নীতির গন্ধও থাকবে না।
*
ছোট্ট উদাহরণ হিসেবে বলি এনটিআরসিএ যত দূর্নীতি আমরা জনসমক্ষে উপস্থাপন করেছি সেভাবে আর কেউ দূর্নীতিবাজ প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারীদের সনাক্ত করার দুঃসাহস দেখাবে না, এমনকি তাদের অন্যায় কার্যকলাপ এর ফিরিস্তি বলার কোনো লোক থাকবে না। এতে করে এনটিআরসিএতে কর্মরত সকল কর্মচারী আজাজিল ফেরেস্তায় রূপান্তরিত হবে। যেমন ধরুন নূরে আলম সিদ্দিকী ৩ বার হজ্জব্রত পালন করেছেন, যার ঐ ৩ বছর কোত্থেকে টাকা পেল, তার হজ্জের টাকা আয়ের উৎস কি এটা জিজ্ঞেস করনের লোক পাওয়া যাবে না। তখনই উনি হয়ে উঠবেন পাক্কা ঈমানদার আজাজিল ফেরেস্তা। আর আইনের অপব্যাখ্যাকারী লুৎফর রহমান হয়ে উঠবেন কট্টরপন্থী আইনের সুরক্ষাদাতা এবং মানুষিক বিকারগ্রস্হ ওবায়দুর রহমান যিনি আগে এনটিআরসিএ ‘র সচিব ছিলেন, তিনিও বলতে পারবেন ১০০ বছরে সনদ দেওয়া গেলেও ৩৫ বছরের বেশি বয়সী কাউকে চাকরি দেওয়া যাবে না। এই সকল রাস্তা পরিষ্কার করতে আসলেই শিক্ষক পরিষদ এর আহবায়ক জি এম ইয়াছিন সহ কোনো নেতার চাকরি দেওয়া কি আদৌ উচিৎ হবে। উত্তরে এনটিআরসিএ অফিসের কর্মচারীরা বলবে অবশ্যই নয়। কারণটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট এই নেতারাই তাদের আযাজিল ফেরেস্তা, দূর্নীতিবাজ প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারী বলে গালমন্দ করে। এটা কি সহ্য করা যায়। সচেতন, দূর্নীতি পরায়ন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের মূল হোতা হিসেবে নূরে আলম সিদ্দিকী, লুৎফর রহমান ও ওবায়দুর রহমান এর মতো আযাজিল ফেরেস্তা কখনো জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু থাকতে হতে দিবে না আর সেইটা আশা করাও বাতুলতা মাত্র। কাজেই নির্দ্বিধায় বলতে চাই, নির্লজ্জ আর্থিক দূর্নীতি, চুরি, বাটপারি যখন কেউ ধরতে পারবে না, এমনকি দুঃসাহস দেখাবে না, তখনই এনটিআরসিএ অফিসের সকল কর্মচারী সাধু সন্যাসীর আড্ডাখানায় ভূষিত হবে, আর প্রতিষ্ঠানটি হবে আযাজিল ফেরেস্তা হিসেবে, শিক্ষিত যুব সমাজের মহোষৌধ ।
অনুরোধে
জি এম ইয়াছিন
আহবায়ক
এনটিআরসিএ নিবন্ধিত ১ম -১২তম নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদ।
মোবাইল : ০১৭১১-২১০০৮৫