
ক্রীড়া প্রতিবেদক
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই আইপিএলের বহুল আলোচিত মিনি নিলাম। কে হচ্ছেন এবারের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার, এই প্রশ্নে ক্রিকেটবিশ্বে জোর আলোচনা চলছে। প্রত্যাশার শীর্ষে অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন। একসময় ধারণা করা হচ্ছিল, গত আসরে ঋষভ পান্তের ২৭ কোটি রুপির রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে। তবে শেষ মুহূর্তে এসে বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে কড়া নিয়ম করে বসেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
গত কয়েক মৌসুমে আইপিএলের মিনি নিলামে বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য হুড়োহুড়ি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার দুই তারকা পেসার প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক নিলামকে নিয়ে গিয়েছিলেন নতুন উচ্চতায়। ওই বছর প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ২০ কোটি রুপির গণ্ডি পেরোন কামিন্সকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ কিনেছিল ২০ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে। একই দিনে দীর্ঘদিন পর আইপিএলে ফেরা স্টার্ক ভেঙে দেন সেই রেকর্ড, তাকে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এবার নীতিগত পরিবর্তনের পথে বিসিসিআই। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অনুরোধে বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মিনি নিলামে বিদেশি ক্রিকেটাররা যেন ‘অস্বাভাবিক’ দামে না বিক্রি হন, তা নিশ্চিত করা হবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি বিদেশি ক্রিকেটারকে ১৮ কোটি রুপির বেশি পারিশ্রমিক দিতে পারবে না। যদিও কলকাতা নাইট রাইডার্স ও চেন্নাই সুপার কিংসের মতো দলগুলো ৪০ কোটির বেশি বাজেট নিয়ে নিলামে নামছে, তবুও এই সীমা অতিক্রম করার সুযোগ নেই।
মিনি নিলামে কোনো বিদেশি ক্রিকেটারের দাম রিটেইন করা ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের চেয়ে বেশি হতে পারবে না।
গত মেগা নিলামে সর্বোচ্চ দামে যিনি বিক্রি হয়েছেন, তার দামের চেয়েও বেশি দিয়ে কোনো বিদেশি ক্রিকেটারকে কেনা যাবে না।
বর্তমানে রিটেইন করা ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ দাম ১৮ কোটি রুপি। আর মেগা নিলামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৭ কোটি রুপিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে বিক্রি হয়েছিলেন ঋষভ পান্ত। ফলে এবার কোনো বিদেশি ক্রিকেটারই এই দুই সীমা অতিক্রম করতে পারবেন না।
নিয়মে আরও বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি ক্রিকেটার যদি নিলামে ১৮ কোটির বেশি দামে বিক্রি হন, তাহলে তিনি পাবেন সর্বোচ্চ ১৮ কোটি রুপিই। অতিরিক্ত অর্থ জমা পড়বে প্লেয়ার্স ওয়েলফেয়ার ফান্ডে, যা ব্যবহার হবে ক্রিকেটারদের উন্নয়ন ও কল্যাণে।
উদাহরণ হিসেবে, ক্যামেরন গ্রিন যদি ২৫ কোটি রুপিতে বিক্রি হন, তাহলে তার হাতে যাবে ১৮ কোটি রুপি। বাকি ৭ কোটি রুপি জমা পড়বে ক্রিকেটারদের কল_toggle উন্নয়ন তহবিলে।
সব মিলিয়ে, এবারের মিনি নিলামে বড় অঙ্কের ডাক শোনা গেলেও বিদেশি তারকাদের জন্য ‘রেকর্ড ভাঙার’ দরজা কার্যত বন্ধই থাকছে। এখন দেখার বিষয়, নতুন নিয়মের ভেতর দিয়েই কে হন এবারের সবচেয়ে আলোচিত নাম।