গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত অন্তত ১৫। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে ভিডিওধারণকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দফায় দফায় মুকসুদপুরের বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে মুকসুদপুর বাশঁবাড়ীয়া ইউনিয়নের ধোপাকান্দি গ্রামের ইনান শেখের বাড়িতে তার ছেলে আবুল আসাদ শেখের (৭) সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় পার্শ্ববর্তী খানজাপুর গ্রামের পলাশ মোল্যার ছেলে নাজিম মোল্লা (১৭) ফোনে ভিডিওধারণ করে। তখন এ নিয়ে ইনান শেখের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে নাজিম মোল্লার কথার কাটাকাটি হয়।
এরই জেরে শনিবার সকালে ইনান শেখের বাড়ির লোকজন উজানী বাজারে আসলে খানজাপুর গ্রামের লোকজনের সঙ্গে পুনরায় কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে ধোপাকান্দি ও খানজাপুর দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে এই সংঘর্ষ চলে। পরে মুকসুদপুর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে সক্ষম হয়।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে ফোনে ভিডিওধারণ করা নিয়ে আজ শনিবার ইনান শেখের বাড়ির লোকজন উজানী বাজারে আসলে খানজাপুর গ্রামের লোকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ধোপাকান্দি ও খানজাপুর গ্রামের বাসিন্দারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।