
স্টাফ রিপোর্টার
মাগুরার সরকারি অফিসগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে এক নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার ভোরে মাগুরা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় এবং সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দুই ঘটনাই প্রায় একই সময়ে ঘটায় জেলাজুড়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আলেপ মোল্লা জানান, খবর পাওয়ার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ভূমি অফিসে রাত ৪টায়, আর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৫টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উভয় স্থানে দাহ্য পদার্থ ব্যবহৃত হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, “দুটি ঘটনা পৃথকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য আলামত পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. আসমা আক্তার জানান, ভূমি অফিসে অগ্নিকাণ্ড ঘটে সার্টিফিকেট ও সহকারী কর্মচারীর অমলের কক্ষে। জানালাটি খোলা থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসেও কাগজপত্র ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তদন্তে ফ্রেশ কোম্পানির পানির বোতলে ভরা প্রায় দুই লিটার দাহ্য পদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো গেছে। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরীক্ষা করছে। জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে হবে।”
তদন্তে যে প্রশ্নগুলো উঠে এসেছে:
দুটি অফিসে অগ্নিকাণ্ড কি কাকতালীয়, নাকি পরিকল্পিত?
উদ্ধারকৃত দাহ্য পদার্থের উৎস কী?
ভূমি অফিসের পেছনের খোলা জানালার প্রভাব কতটা?
সিসিটিভি ফুটেজে কোনো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা গেছে কি না?
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সব আলামত পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত স্পষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়।