আহসান হাবীব স্টাফ রিপোর্টার
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মায়াবী ফ্যাশন হাউজসহ দুটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ভোর সোয়া ৪টার দিকে উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরমজিদ সেলিম মিয়া বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সবাই মিলে পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এবং দ্রুত ফায়ার সার্ভিস কে জানালে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।কিন্তু আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় দোকানগুলোতে থাকা মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
বাজারের পাহারাদার খলিল বলেন, ভোরে বাজারের মায়াবী ফ্যাশন হাউজ এর দোকানে আগুন জ্বলতে দেখি। হঠাৎ দাউদাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়।
স্থানীয় একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ভোর রাতে হঠাৎ দোকানপাটের দিক থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে তারা ছুটে যান। এসময় দেখা যায় মায়াবী ফ্যাশন হাউজে জ্বলে ওঠা আগুন মুহূর্তেই পুরো দোকান এবং পাশের চা দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতায় ভিতরে থাকা কাপড়, আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত মায়াবী ফ্যাশন হাউজের মালিক আমির হোসেন জানান-“আমার দোকানে শীত মৌসুমের প্রায় সব ধরনের কাপড় ও রেডিমেড পোশাক ছিল। আগুন লাগার সাথে সাথেই সবকিছু শেষ হয়ে যায়। প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।”
অন্যদিকে, পাশের চা দোকানের মালিক পারভেজ বলেন-“রাতেই দোকান বন্ধ করে বাসায় যাই। ভোরে ফোন পেয়ে এসে দেখি দোকানের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। অন্তত ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহমর্মিতা জানান। এলাকাবাসী জানান, বাজারে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা, পুরনো বৈদ্যুতিক তার এবং অসাবধানতার কারণে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি সবসময় বিদ্যমান।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মহলে চরম হতাশা বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ জানান - আমাদের কে জানালে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।যতটুকু জানতে পেরেছি আগুনের সূত্র পাত হয়েছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে।