আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পরকীয়া সম্পর্ক ফাঁস হওয়ায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক নারী ও তার প্রেমিকের উপর। ভারতের কানপুরের সচেন্দি এলাকায় এই ঘটেছে।
তদন্তে জানা গেছে, ৪৫ বছর বয়সী ওই নারী তার ২০ বছর বয়সী ভাগ্নের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক চালাচ্ছিলেন। স্বামী শিববীর সিংহকে হত্যার জন্য তারা দু’জনে মিলে ষড়যন্ত্র করেন। এ জন্য শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছেন।
বান্দা জেলার বাসিন্দা সাবিত্রী সচেন্দির লালুপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় ছেলে শিববীর সিংহ, ছেলের স্ত্রী ও তাদের তিন সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সাবিত্রী বান্দা সফরে যান এবং ৫ নভেম্বর ফিরে এসে দেখেন ছেলে নিখোঁজ।
খোঁজাখুঁজির পর ছেলের স্ত্রী বলেন, তিনি নাকি কাজের জন্য গুজরাটে গেছেন। কয়েক মাস ধরে কোনো যোগাযোগ না করায় গত ১৯ আগস্ট সাবিত্রী সচেন্দি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছেলের স্ত্রী দাবি করেন, শিববীরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তিনি। তবে শুক্রবার সাবিত্রী জানতে পারেন, ছেলের স্ত্রীর সঙ্গে তার নাতি অমিতের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এই তথ্য তদন্তকারীদের জানান তিনি।
পরে অমিতকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, শিববীর নেশা করে বাসায় ফিরে স্ত্রীকে মারধর করত।
তদন্তে আরও বেরিয়ে আসে, ওই নারী এবং তার ভাগ্নের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল এবং তারা ২০২৪ সালের ২ নভেম্বর রাতে শিববীরকে খুন করে। প্রথমে তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেওয়া হয়, পরে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এরপর দুজন মিলে মরদেহটি একটি বাগানে পুঁতে রাখে এবং দ্রুত পচন ধরানোর জন্য ১০-১২ কেজি লবণ ব্যবহার করে। কয়েক মাস পর কুকুর সেই গর্ত খুঁড়ে ফেলায় কিছু অস্থি উদ্ধার হয়। পরে অভিযুক্তরা হাড়গুলো পানকি খালে ফেলে দেয়।