নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ডিবি পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা চোরচক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে চোরাই একটি ট্রাক, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও নগদ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার বকচর এলাকার মৃত সুভাষ চন্দ্র দার ছেলে পার্থ কুমার দা , মনিরামপুর উপজেলার মোহাম্মদ নুর আলী বিশ্বাসের ছেলে আব্দুস সালাম ওরফে শামীম এবং একই উপজেলার মন্তাজ সরদারের ছেলে মো. আলম । তারা এক ড্রাইভারকে অচেতন করে বালুভর্তি ট্রাক নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।
ডিবি পুলিশ জানায়, মামলার বাদি মালেক সরদার কুষ্টিয়া ভেড়ামাড়া উপজেলার বাহেরচর মসলেমপুরের বাসিন্দা ও পেশায় ট্রাকচালক। তিনি মসলেমপুর ঘাট থেকে বালি উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন।
২১ আগস্ট দুপুর ৩টার দিকে অপরিচিত দুইজন বাদীর সঙ্গে দরদাম করে এক ট্রাক বালি যশোরের খাজুরা এলাকায় নেওয়ার কথা বলে। বালি লোডের পর ওই দুই ব্যক্তিকে নিয়ে ট্রাকটি যশোরের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত আনুমানিক ১০টা ৩০ মিনিটে সীমাখালী ব্রিজ পার হয়ে মেসার্স মতিন এলপিজি ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে রাতের খাবারের কথা বলে ট্রাক থামানো হয়। কিছুক্ষণ পর বাদীর মাথা ঘোরা ও চোখে ঝাপসা দেখা দিলে তিনি রাস্তার পাশে ট্রাক থামান।
পরদিন ২২ আগস্ট সকাল ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে তিনি যশোরের বাঘারপাড়া থানার বন্দবিলা ইউনিয়নের তেলিধান্যপুড়া গ্রামে পাকা রাস্তার পাশে শুয়ে আছেন । তখন ট্রাক ও তার সঙ্গীরা কেউ নেই। ডিবি জানায়, শনিবার রাত ৭টা ৩৫ মিনিটে বাঘারপাড়ার খাজুরা তেলিধান্যপুড়া থেকে পার্থ কুমার দাকে আটক করা হয় এবং চোরাইকৃত ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শনিবার রাত ৩টা ৩০ মিনিটে মনিরামপুর থানার খেদাপাড়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে আব্দুস সালাম ওরফে শামীমকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে অচেতন করার কাজে ব্যবহৃত ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। একই দিন ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে মো. আলমকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে চোরাই বালু বিক্রির নগদ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ডিবির অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভুঞা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে চেতনানাশক প্রয়োগ করে গৃহ, যানবাহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।