1. live@www.jagrotobd.com : দৈনিক জাগ্রত বাংলাদেশ : দৈনিক জাগ্রত বাংলাদেশ
  2. info@www.jagrotobd.com : দৈনিক জাগ্রত বাংলাদেশ :
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৬:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কনস্টেবলের স্ত্রীকে দেখে মাথা খারাপ এএসপি, অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত  নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল কারাগারে আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা হাসিনাকে দেশে ফেরাতে নাশকতার ছক গাইবান্ধায় এক নারীকে গাছে বেঁধে চুল কেটে-জুতার মালা পরিয়ে ভয়ংকর নির্যাতন কালীগঞ্জ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত সাঘাটায় সিজু নিহত’র ঘটনায় অতিরিক্ত ডিআইজি’র নেতৃত্বে কমিটি গঠন।। ৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন শরণখোলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, দোকান ও মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই:: অভয়নগরে সাংবাদিকের ঘর থেকে মাংস নিয়ে গেল চোরে, অতঃপর,,,, পটিয়ায় জানাজার মাঠ নিয়ে উক্তেজনা সংঘর্ষের আশঙ্কা, আদালতে নিষেধাজ্ঞা  পটিয়ার কচুয়াই  একতা সংঘে ফুটবল প্রদান করলেন যুবদল নেতা শেখ জাহাঙ্গীর আলম 

ছাত্র-জনতা বিরোধী কর্মকর্তার আয়োজনে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

গত বছর ৩ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপক্ষে সরাসরি মিছিলে অংশ নেওয়া ও ভাইরাল স্লোগানদাতা হিসেবে পরিচিত বিতর্কিত সরকারি কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান মিয়ার আয়োজনে অংশ নিয়েছেন পটুয়াখালীর জুলাই যোদ্ধারা। ফলে পটুয়াখালীর রাজনৈতিক ও সচেতন মহলে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়া।

২৮ জুলাই (সোমবার) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় “জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫ ও রক্তদান কর্মসূচী”। আয়োজক ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. খালেদুর রহমান মিয়া। কিন্তু এই আয়োজনের পেছনের ইতিহাসই এখন প্রশ্নবিদ্ধ।

গত বছরের ৩ আগস্ট ঢাকার রাজপথে ছাত্র-জনতা বিরোধী মিছিলে অংশ নিয়ে “এক দফা কবর দে” স্লোগান দেন ডা. খালেদুর রহমান মিয়া। এমন ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে মিছিল করছেন। এই ভিডিও প্রকাশের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা এবং নাগরিক সমাজ ক্ষোভ প্রকাশ করে। ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর তিনি পটুয়াখালীতে সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন, যা নিয়েও তীব্র বিতর্ক হয়। তার ছাত্র-জনতা বিরোধী সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত একটি নিউজ ২৬ জুলাই জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় ও বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে স্থানীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্র জনতার মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।

চলতি সময়ে বিতর্কিত ওই কর্মকর্তা নিজেকে ‘সততার প্রতীক’ ও ‘জুলাই আন্দোলনের সহযোদ্ধা’ হিসেবে প্রচার করছেন, তার আয়োজনে জুলাই আন্দোলনের অগ্রসৈনিকদের অংশগ্রহণ অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত লেগেছে। আন্দোলনের নৈতিকতা ও স্মৃতি রক্ষার প্রশ্নে এ অংশগ্রহণকে “আদর্শচ্যুতি” হিসেবেও ব্যাখ্যা করছেন অনেকে।

জুলাই যোদ্ধা তোফাজ্জেল বলেন, সিভিল সার্জন এর অফিসে নাকি কয়টা নিয়োগ এজন্য নাকি তার বিরুদ্ধে লাগা হইছে। সে যেদিন সে প্রথম জয়েন করছে তারপরই এই ভিডিওটা আমি দেখছি। এটা তো শুধু আমার কাছে না এটা পটুয়াখালীর ম্যাক্সিমাম সাংবাদিক বা কম বেশি যারা আছে সবাই দেখছে। এখন নিয়োগের সময়ে এই বিষয়টা সামনে আসছে। এ বিষয়ে আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সিভিল সার্জনকে খালি খালি ধরে লাভ নাই। উনি তো শুধু মিছিলে নামছে এর চেয়ে বড় অপরাধীও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়।তাকে নিয়ে আমাদের কোন প্রতিক্রিয়া নাই।

আরেক জুলাই যোদ্ধা সালমান বলেন, আসলে এ ব্যপারে আমি শুনেছি। কি করা যায় সবার সাথে আলাপ করে বিষয়টি দেখতেছি। তাছাড়া এ ব্যপারে ডিসি স্যরকে অবগত করেছি।

সাধারণ নাগরিক, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মীদের একটি অংশ বলছেন, “যে কর্মকর্তা ছাত্রদের কবর দিতে চেয়েছেন, তার সেমিনারে ছাত্রদের শহীদের নাম জপা একটা পরিহাস। এটা নীরব আপসের নমুনা।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট