সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিএনপি নেতা শামসুল হক খানের নেতৃত্বে একটি বাহিনী গড়ে ওঠে। ওই বাহিনী অত্যাচারে এলাকাবাসী যেন এখন জীর্ণ শীর্ণ প্রায়। ২০০১ সাল থেকে শুরু করে চাঁদা বাজি আর দক্ষবাজি। সরাহাজিপুর গ্রামের মৃত মহির খার পুত্র আইয়ুব আলীর ক্রয় কিত রিদাশীলের ১২ বিঘা জমি বেদক্ষল করে। ২০১৪ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩২ বিঘা জমি বেদখল করার চেষ্টা করে। এসময় গ্রামের সাধারণ মানুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে মাঠে নামে , উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, তাতে কয়েকজনের হাত পা ভেঙ্গে শামসুল বাহিনী পরাজিত হয়। দেশের পদ পরিবর্তনের পর সক্রিয় হয়ে ওঠেন শামসুল বাহিনী লোকজন। শুরু হয় তাদের সন্ত্রাসী তান্ডব,৷ নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক আশ্রয়ন কেন্দ্র গুচ্ছগ্রামের বসবাস কারি অনেকেই বলেন আমরা যেন জীর্ণ শীর্ণ হয়ে আছি, আমাদের বলা কওয়ার কিছু নেই। শামসুল বাহিনীর লোকজন যখন যা বলে আমাদেরকে তাই করতে হয়। তাদের কথামতো না চললে আমাদের এখানে বসবাস করা সম্ভব নয়। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সরাইহাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা মুত সামাদের পুত্র আলামিন কে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করা হয়।
১৫ মার্চ একই বাহিনী লোকজন সাংবাদিক শাহীন খানের উপর হামলা চালিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। ১৫ জুলাই বিকালে চান্দাইকোনা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আবু হানিফ খানের উপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় আহত আবু হানিফকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।