স্টাফ রিপোর্টার
ডেঙ্গুর চোখ রাঙ্গানিতে আতংকে দিন কাটছে নওয়াপাড়া পৌরবাসির। ময়লা আবর্জনা আর ডেঙ্গুর লার্ভায় ভরা পৌর এলাকার ড্রেনগুলো। মশার উপদ্রব তীব্র আকার ধারন করেছে। ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগে প্রতিনিদ নতুন নতুন রোগী আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এসব নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই পৌর কৃর্তপক্ষের। এমনকি ড্রেন পরিস্কার করে ওষুধ স্প্রে কিংবা মশা মারতে কোন ভুমিকাই দেখাচ্ছেনা পৌরসভা। অথচ লোক দেখানো লিফলেট বিতরণ করে দায় সারছে নওয়াপাড়া পৌরসভা। এদেখে পৌরবাসি একদিকে যেমন ক্ষোভ ঝাড়ছে অন্যদিকে রসিকজনদের হাস্যরসের মদদ যোগাচ্ছে বলে মনে করছে পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে ডেঙ্গু প্রতিরোধে যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নওয়াপাড়া বাজারে লিফলেট বিতরণ করেছে। একর্মসূচির আবার উদ্বোধনও করা হয়েছে। উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নওয়াপাড়া পৌরসভার প্রশাসক পার্থ প্রতিম শীল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম কুমার সোম, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা রাজিবুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী প্রসেনজিৎ মÐল, সার্ভেয়ার আলী আকরাম হাওলাদার, কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর সেলিম মল্লিকসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এব্যাপারে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডেও বাসিন্দা আরিফুর রহমান জানান, আমাদের এলাকায় মশার এমন উপদ্রব বাড়িতে বসবাস করতে পারছিনা। মশার কয়েল জ্বালিয়েও কোন কাজ হচ্ছেনা। পৌরসভার পক্ষথেকে যদি ওষুধ স্প্রে করে মশা মেরে দিতো তাহলে মশার হাত থেকে বাচা যেত। পৌরসভা দীর্ঘদিন যাবৎ মশা নিধনে কোন কার্যকর ভুমিকা দেখা যাচ্ছেনা।
এব্যাপারে পৌরসভার সচিব মো: সাইফুল ইসলাম জানান, গত প্রায় দুই মাস আগে আমাদের ওষুধ শেষ হয়ে গিয়েছে যে কারণে আমরা স্প্রে করতে পারিনাই। তবে প্রশাসক স্যার ওষুধ আনার জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে।
এব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পার্থ প্রতিম শীল জানান, পৌরসভায় ওষুধ না থাকায় কাজে একটু ব্যাঘাত হয়েছে। তবে স্প্রে নিয়মিত হচ্ছে। ফগার মেশিনের ওষুধ শেষ হয়েছিল সেটা দ্রæত সংগ্রহের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ফেসবুকে ওষুধ স্প্রের শিডিউল দেয়া আছে। সঠিকভাবে কাজ না করলে আমাকে জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।