অভয়নগরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কমিটিতে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি, সদস্যরা নাজেহাল
বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রাজঘাট সাভারপাড়া ন্যাশনাল ক্লাবের কার্যনিবাহী কমিটিতে এক পরিবারের একাধিক ব্যাক্তি থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভয়নগর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার অফিসে ক্লাবের সকল সদস্যের পক্ষে নজরুল ইসলাম গাজী নামের এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজঘাট ন্যাশনাল ক্লাবটি ১৯৮৫ সালে ৫২ জন দাতা সদস্য নিয়ে গঠিত হয়।
১৯৮৮ সালে দাতা সদস্য ও স্থানীয় অনুদান দিয়ে দুটি কবলা দলিল যায় নম্বরব ৪৭৩৬ ও ৪৭৮৫ মুলে ক্লাবের নিজ নামে ১৫ শতক জমি কেনা হয়। ক্লাবের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে মো মনজুরুল কে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। মনজুরুল তিনি কাজের সুুবাদে পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। সভাপতির দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। খমতার অপব্যবহার সহ নানা অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এনিয়ে ক্লাবের সাধারণ সদস্যদের মাঝে চরম খোভের সৃষ্টি হয়। সভাপতি আওয়ামিলীগ সরকার খমতায় থাকা কালিন কোন দিন সাধারণ সভা না করে নিজের মতো করে ক্লাব পরিচালনা করেছেন। এনিয়ে কথা বলতে গেলে নানা ভয়ভিতি দেয়ার অভিযোগ করেন একাধিক ব্যাক্তি। আওয়ামীলিগ সরকারের পতনের পর সাধারণ সদস্যরা ক্লাবের আয়ব্যয় নিয়ে খোঁজ করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। ক্লাবটি নিজের মতো পরিচালনার জন্য কোন সাধারণ সভা না করে নিজের ইচ্ছে মত পকেট কমিটি করেন সেখানে নিজে সভাপতির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের ভাইদের নাম দিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটি যশোর জেলা অফিস থেকে অনুমোদন করিয়ে নেন। যা স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন নিবন্ধন নীতিমালার পরিপন্থী।
অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম গাজী বলেন, কথিত সভাপতি মো মনঞ্জুরুল ইসলাম নিজের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য মনগড়া কমিটি গঠন করেছেন। সেখানে সাধারণ সদস্যদের কোন মতামত নেওয়া হয়নি। এবিষয়ে সহ সভাপতি আব্দুল সাত্তার বিশ্বাস বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নির্বাহী আদালত, যশোর মোকদ্দমা ফৌঃ কাঃ বিধির ১৪৪/১৪৫ ও ১৮৮ ধারায় মামলা রুজু করেন যার মামলা নম্বর পি-৬৬/২৫। ওই মামালা বিজ্ঞ আদালতে চলমান রয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাজী মো জয়নুর রহমান অভিযোগের সত্যতা শিকার করে বলেন, আমি জানতে পেরেছি ওই কমিটি যশোর অফিস থেকে সরাসরি করিয়ে নিয়েছে। সেই কমিটির বিষয়ে আমরা কিছু জানিনা। এখন রাজঘাট সাভারপাড়া ন্যাশনাল ক্লাবের কমিটির বিষয়ে একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ওই অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি সহকারি সমাজসেবা কর্মকর্তাকে। তিনি সরেজমিনে গিয়ে সত্য বিষয়টি উদঘাটন করতে সক্ষম হবেন। তিনি আরও বলেন, অভিযোগের সত্যতা মিললে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা মো আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার উর্ধতন কর্মকর্তা তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি।আমি তদন্ত শেষে আমার উর্ধতন কর্মকর্তা কাছে প্রতিবেদন জমা দিবো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিক বার রাজঘাট সাভারপাড়া ন্যাশনাল ক্লাবে এলাকায় গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে জেলা সমাজসেবা কমকর্তা অসিত কুমার সাহ সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার ব্যবহত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি মোবাইল ধরে নাই।